রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের রক্ত দিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির ব্লাড ব্যাংকের সামনে রক্তদাতা ভিড় করেছেন। আজ সোমবার বিকেলে ইনস্টিটিউটের আট তলায় এ দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্লাড ব্যাংকের সামনে শতাধিক রক্তদাতা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রক্ত দেওয়ার জন্য। রক্ত গ্রহণে দায়িত্বশীলরা জানান, ‘এ’ পজিটিভ, ‘বি’ পজিটিভ, ‘ও’ পজিটিভ গ্রুপের রক্তদাতাদের রক্ত নেওয়া হয়েছে। এখন ‘এ’ নেগেটিভ, ‘বি’ নেগেটিভ, ‘এবি’ নেগেটিভ, ‘এবি’ পজিটিভ এবং ‘বি’ নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন। এখন এই গ্রুপের রক্তদাতাদের রক্ত নেওয়া হচ্ছে।
তবে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে রক্তদানের জন্য মাইকিং করতে দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবকদের। তারা প্লেকার্ড হাতে বিভিন্ন গ্রুপের নেগেটিভ রক্তদাতাদের রক্তদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।
ইনস্টিটিউটের বাইরে রক্তদাতা সংগঠন রিদম ব্লাড সেন্টার ফুটপাতেই অস্থায়ী ক্যাম্প খুলেছে। সেখানেই রেজিস্ট্রেশন আর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রক্ত সংগ্রহ করছে স্বেচ্ছাসেবীরা।
মোহাম্মদপুর থেকে রক্ত দেওয়ার জন্য এসেছেন হাসান সাফি। তিনি সমকালকে বলেন, ‘আহতদের রক্তের প্রয়োজন। যাদের রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ তারা হাসপাতালে চলে আসুন।’
রিদমের ডেপুটি ল্যাব ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘এখনও অনেক রক্তের প্রয়োজন। আমরা হাসপাতালের বাইরে ফুটপাতেই অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছি। এখানেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রক্ত নেওয়া হচ্ছে।’
এ দিকে রক্তের জন্য উত্তরায় মাইকিং করছে পুলিশ। সড়কে দাঁড়িয়ে পুলিশের এক সদস্যকে রক্তের জন্য মাইকিং করতে দেখা গেছে। পুলিশের ওই সদস্য মাইকে বললেন, রক্তের খুব প্রয়োজন। আহতের জন্য যারা রক্ত দিকে ইচ্ছুক তারা বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল যান।